লেখক কথনঃ রাইটার্স ব্লককে জয় করবো কিভাবে?

নগরবাউল শোনেন? বা আগে শুনতেন?

জেমস এর গলায়, "লিখতে পারিনা কোন গান" শুনতে কিন্তু দারুণ লাগে! লাগবেনা-ই বা কেন? মেলোডিয়াস ভয়েস! তার উপর রোম্যান্টিক গান... মিউজিকের শখ যাদের আছে, তাঁদের ভালো লাগবেই।

যাইহোক, লেখককথন তো আর মিউজিক নিয়ে লেখার জায়গা নয়, তাই না? এটা লেখালিখি নিয়ে লেখার জায়গা। তাহলে গান কেন?

আছে... আছে... লেখকের হাতে কোন শব্দই "অযাচিত" নয়। সবকিছুরই কারণ এবং সিম্বোলিক অর্থ অবশ্যই আছে। এই লাইনটিরও আছে। সেইদিক থেকে নগরবাউল-এরও আছে।

আচ্ছা...? লিখতে পারিনা কোন গান এর জায়গায় যদি আজ বলি, "লিখতে পারিনা কোন লেখা," বা "আর্টিকেল," "সার্ভিস প্রেজেন্টেশন," এবং "রিসার্চ পেপার?"

হ্যা! খানেকটা মজার শোনালেও সমস্যাটা কিন্তু একটি গুরুতর বিষয়। বিশেষ করে কোন লেখক যখন তাঁর ক্লায়েন্টের জন্য লিখছেন। আমরা কিন্তু প্রায় সময়ই বড় বড় সব আর্টিকেল লিখি। একেবারে ২০০০ - ৮০০০ শব্দের।

মগজ-যন্ত্র কাজ করলে একজন দক্ষ লেখকের একটি ৮০০০ শব্দের আর্টিকেল লিখতে সময় লাগবে দশ থেকে বারো দিন। আর যদি মগজ-যন্ত্র কাজ না করে...?

Well my friend, I wish you Good Luck finishing the project.

হ্যা, সারাদিন, সারা সপ্তাহ হয়তো আপনি পাঁচশো শব্দের গন্ডিই পেরোতে পারবেন না। এই যে হঠাৎ করেই মগজ-যন্ত্রের "আলসে" হয়ে যাওয়া আর কীবোর্ডের টোকায় শব্দ না বেরোনো... এটাকেই বলে "Writer's Block!"

এই বিষয় নিয়েই আমাদের আজকের খোশগল্প। হাতের কাছে কফি আছে? না থাকলে বানিয়ে নিন! কফি ছাড়া গপ্পো জমে না!

লেখক কথনঃ রাইটার্স ব্লককে জয় করবো কিভাবে?

Writer's Block কি?

বুঝলেন না? বলেই তো দিলাম। রাইটার্স ব্লক মানে হলো মগজ-যন্ত্রের সাময়িক হাল ছেড়ে দেয়া। এসময় আপনার আঙ্গুলের টোকায় শব্দ ভর করবে না।

আরোও ভালোভাবে বলতে গেলে, লেখালিখির সময় আমাদের লেখকদের একটা বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়, বিষয়টি কাদের জন্য, এটা কোন কোন সাবপ্লট নিয়ে কাজ করে, কিভাবে এবং কোনটার পর কোন সাবপ্লট সাজাবো, কিভাবে পুরো বিষয়টা উপস্থাপন করবো... এসব নিয়ে চিন্তা করতে হয়।

যতটা সময় জুড়ে আমরা লিখি, এর চেয়ে বেশি সময় নিয়ে এসব বিষয়েই মাথা ঘামাতে হয়।

ফলে যা হয়ঃ একজন লেখক একটি বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে সেটার মধ্যেই ডুবে থাকেন। নিবন্ধটি শেষ করবার আগ পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বলেন, কিওয়ার্ড বলেন, কিংবা শব্দের বাধা-নিষেধ... এসব কিছুই মাথায় থাকেনা। 

ফলে, নিবন্ধের শেষে গিয়ে একধরণের ক্লান্তি ভর করে। পরবর্তী নিবন্ধ শুরু করবার ছন্দ হারিয়ে যায়। কিংবা শুরু করলেও মনে হয়,  কারও কারও ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিকেল লেখার মাঝপথেও এটি হতে পারে। এই ছন্দপতনের ফলে হয়তো একটা সহজ বিষয় বা সাব-সেকশন শেষ করতে দু' থেকে তিনদিন লেগে যায়।

অনেকেই বলেন, "শব্দ আসছেনা।" অনেকে খুব সাধারণ কিছু ইংরেজী শব্দ মনে করতে পারেন না। কেউ হয়তো আইডিয়া নিয়ে কাজই করতে পারেন না! এইটিই হলো একজন রাইটারের ব্লক বা "Writer's Block"

কিন্তু... "Writer's Block" নামের এই বালাইটা হয় কেন?

ভাই থামেন... এইটে কোন বালাই নয়, সাময়িক একটা জড়তা মাত্র। লেখার জড়তা। বেশ কিছু কারণে এটা হতে পারে, আবার হুট করে সেরেও যায়। ব্যক্তিগতভাবে আমার ক্ষেত্রে এই জড়তাঁর কারণগুলো দেখে নিইঃ

লেখার সময়ের তারতম্যের কারণে

৮০ থেকে ৯০ ভাগ সময়েই আমরা দিনের এমন সময় লিখতে বসি যখন আসলে লেখার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নেই। লেখকদের যা হয় আর কি... আমরা জানিনা আমাদের সম্মানী কেমন হওয়া উচিত, সেক্ষেত্রে একটু কম সম্মানীতেও আমরা লিখতে প্রস্তুত হয়ে যাই সহজেই।

ফলে যা হয়, আমাদের আয় বাড়াতে আমরা ভাবি, "দিনে দশ ঘন্টাই লিখবো, তাহলেই দিনে ৫০ খানা ডলার।" এইতো! এতে করে যা হয়, আমাদের মগজ-যন্ত্রে মানসিক ক্লান্তি ভর করে। দিনে দশ ঘন্টা তো দূরে থাকলো, তিন ঘন্টা লেখার পরই অবস্থা বেগতিক হয়ে যায়।

সবকিছু "একেবারে ঠিকঠাক" হতেই হবে!

যে ব্যাপারটা আমার সাথে প্রায়ই ঘটে সেটা হলো, আমার লেখার জন্য "দিন-তারিখ-তিথি-রাত-দিন-ঘন্টা" মেলা চাই। পাশের জানালা দিয়ে সুন্দর একটা সকাল দেখবো, গিন্নী হয়তো কড়া লিকারের চা অথবা সুমিষ্ট কফি এনে দেবে, আমি আয়েশ করে চায়ে চুমুক দেবো আর লিখবো। অন্যথা হলে ঠিক "মুড" আসেনা। :p 

মোদ্দাকথা, মগজ-যন্ত্র দারুণভাবে কাজ করতে হলে চাহিদা-যোগান সূত্রের মতো "অন্যান্য বিষয়গুলো অপরিবর্তিত থাকতে হবে।" এবং এটা শুধু আমার বাতিক নয়। 

আমার মনে হয় অনেকেই বিশ্বাস করেনঃ নান্না বিরিয়ানী বা ঢাকার কোন স্বনামধন্য খাবারের দোকান থেকে বিকেলের নাশতাটা সেরে আসলে তবেই "এ ক্লাস" লেখা বেরোবে!
শেষ পর্যন্ত যা হয়, "সাত-মণ ঘিও ঢালা হয়না, রাধাও নাচে না।" লেখাও এগোয় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। :p 

বিষয়ভীতি একটা বড় ক্যাটালিস্ট!

মানুন চাই না মানুন... নতুন একটি বিষয় বা সম্পূর্ণ নতুন কোন একটা আঙ্গিক (Formatting) দেখলেই চোখে সর্ষেফুল দেখি আমরা। একেবারে ঝানু লেখকও নতুন আঙ্গিকের বিষয় দেখলে মিনিট পনেরো সময় নেন ধাতস্থ হবার জন্য। 

যে কোন লেখক (তিনি যত অভিজ্ঞই হোন না কেন) এর কাছে কোন না কোন বিষয় আসেই যেটা নিয়ে তিনি আগে কখনোও লেখেন নি। ফলে তিনি হয়তো নিজের দক্ষতাকে পুঁজি করে লেখা শুরু করবেন। তবে এমন সময়ও আসে যখন নতুন বিষয় নিয়ে লিখতে গিয়ে লেখার মাঝপথে বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য তাঁকে উপযুক্ত শব্দ হাতড়ে বেড়াতে হয়।

এর কারণ নতুন সেই বিষয়টির রিসার্চ করার কৌশল ঠিক করা, কাদের জন্য লিখছেন এটা স্থির করা, সময়সীমা, এবং শব্দসীমা মাথায় রেখে লেখা কোনমতেই সহজ নয়!

আশার কথাঃ একজন ঝানু লেখকের জন্য এই ব্লক এর সময়টা কয়েক ঘন্টার মাত্র। আপনার অভিজ্ঞতা যত কম হবে, আপনি ততটা বেশি সময় ধরে Writer's Block এ ভুগবেন। :( 

কালক্ষেপণ বা Procrastination করছেন? এটা কিন্তু ভোগাবে!

প্রত্যেক লেখকের লেখার একটা নিজস্ব আঙ্গিক থাকে। একটা নিবন্ধ তিনজন লেখক তিনভাবে লিখবেন। সেটার প্রতি তিনজন তিনভাবে Approach করবেন। এটাই স্বাভাবিক।

ধরেন, আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে পাঁচ হাজার শব্দের নিবন্ধ লিখতে দিয়েছেন কোন একটি বিষয়ের উপরে। লেখক হিসেবে আপনি এধরণের তিন থেকে পাঁচজন ক্লায়েন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতেই পারেন।

একজন সেন্সিবল লেখক কখনই একজন ক্লায়েন্টের ৫০০০ শব্দের সেই লেখা "একদিনে" লেখার মত চ্যালেঞ্জ নেবেন না। অভিজ্ঞরা প্রায়শই বৈচিত্র্য রাখার জন্য প্রতি ক্লায়েন্টের জন্য দিনে সর্বোচ্চ তিনশো শব্দ লিখে থাকেন। 

আপনি একটু সাবধানী না হলে এখানে সমস্যা বাঁধতে পারে। আপনি হয়তো ভাবতেই পারেন আজ চারজন ক্লায়েন্টের জন্য মোটে বারোশত শব্দ লিখবেন। বাকি যিনি রইলেন, কাল ওভারটাইম করে তাঁরটা পুষিয়ে নেবেন।

অধিকাংশক্ষেত্রেই পরের দিন চারজনের জন্য লেখার পর পিছিয়ে থাকা নিবন্ধের জন্য লিখতে কিন্তু আর ইচ্ছে করেনা। ফলে সেই নিবন্ধটি টেনে তুলতে গিয়ে আপনি খানেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতেই পারেন। কিংবা হয়তো পাঁচটি নিবন্ধ লেখার ক্ষেত্রেই আলসেমী কাজ করবে। ফলাফল? ঐ যে... শব্দ হারিয়ে যাবে... লেখা এগোবে না।

অন্যমনষ্কতা আপনার বড় শত্রু

নবীন বলেন কিংবা প্রবীণ, লেখার সময় "মন বসে না লেখার টেবিলে" এমনটা সবার জন্যই সত্য। লেখকের কাজটাই হচ্ছে একটা বিষয়কে ঘিরে লিখে যাওয়া, মাসে কয়েক লাখ শব্দ লেখা। নিঃসন্দেহে পৃথিবীর একঘেয়ে কাজগুলোর একটি। 

লেখকদের মনে হতেই পারে একই ধরণের শব্দগুলোকে কেবল আলাদা আলাদা ফ্রেমওয়ার্কে বেধে লেখা হচ্ছে। ফরম্যাটিং এ একটা Repetitive Pattern চলে আসতেই পারে। তখনই আসলে একঘেয়ে লাগে। 

তখন আমরা কি করি? লেখার মাঝেই চট করে ফেইসবুকে নোটিফিকেশন চেক করি, চ্যাট করি, Poker খেলি, কিংবা ছোট্ট স্ট্যাটাস দিয়ে ফেলি (আমার ক্ষেত্রে বেশি হয়)। 

যারা একটু আধটু গেম খেলার শখ রাখেন, তাঁরা ভাবেন এই ফাঁকে Castlevania 2 এর একটা স্টেজ ক্লিয়ার করে আসি কিংবা অর্ণব বা অনুপমের একটা গান হলে মন্দ হয়না!

এতে হয়তো আপনি সাময়িক একটা আনন্দ পেলেন তবে ফিরে এসে লেখাটা শেষ করতে আর ইচ্ছে করবেনা আপনার। 

  

হেল্প! কিভাবে Writer's Block-কে গুডবাই বলবো?

ডিসক্লেইমারঃ এই রোগটাকে একেবারে বিদায় জানাতে পারবেন না। এটা ফিরে আসবে, বার বার ফিরে আসবে...। 

তবে যখনই ফিরে আসবে, আপনি কিছু দাওয়াই দিতে পারবেন। আসুন আমরা জেনে নিই Writer's Block তাড়ানোর জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকা!
  • নামাজ পড়ুন। এইটা মুসলিমদের জন্য একটা টনিকের মত কাজ করে। ফজরের নামাজ কিংবা মাগরিবের পর মগজ-যন্ত্র কিন্তু দৌড়ায়। ফজরের নামাজের পর কাজ শুরু করলে দিনের বারোটা বাজার আগেই ষাটভাগ কাজ শেষ করে বসে থাকা যায়। পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স!
  • এলোমেলো বিষয়ে লিখতে শুরু করুন। আপনার যখন বিষয়ভিত্তিক লেখা লিখতে ইচ্ছে করবে না, এটি কাজে দেবে। এই যে যেমন এখন আমি আমার ক্লায়েন্টের জন্য নিবন্ধ লিখতে গিয়ে আর লিখতে ইচ্ছে করছেনা আমার। তাই এই ছোট্ট কুড়েঘরে (পড়েন ব্লগস্পটে) ছনের ছাদ দিচ্ছি।

  • বই পড়ুন। এতে দারুণ সময় কাটবে আপনার। আমি মূলত ইংরেজী গল্পের বইগুলো পড়ি। ফিকশন, থ্রিলার। এতে করে আরেকটা বড় কাজ হয়। আপনার শব্দভান্ডারে বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং শব্দ যোগ হবে।

  • পরিবারকে সময় দিন। আট-দশ ঘন্টা টানা লিখে যাবার একটা মানসিক ক্লান্তি আছে। এর মাঝে পরিবার বা আপনজনের সাথে বাইরে কোথাও ঘুরতে গিয়ে কাচ্চি খেয়ে আসলে পরে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করতে পারবেন। তবে এটা রুটিনমাফিক নয়, একেকদিন একেক কাজ করুন। ফোনে কারো সাথে লম্বা সময় কথা বলবেন না তাই বলে। Be outgoing!


  • গান শুনতে পারেন। আপনি "ভাই মানা করেছিলেন কিন্তু" বলার আগে বলে রাখি, কাজের মাঝে গান শুনে অন্যমনষ্ক হবার চাইতে দুটো আর্টিকেল লেখার মাঝের সময়টুকু মিনিট চল্লিশেক শোনাই যায়। সবধরণের গানই শুনতে পারেন, আমার ব্যক্তিগত পছন্দ পুরোনো দিনের গানগুলো, কাউয়ালী, সাথে ফিউশন কিংবা সফট মেলোডির গানগুলো।

  • লেখার মাঝে চা'এর বিরতি নিন বা কফিও চলে। আবারও বলি,  এটা "করতেই হবে" এমন নয়। অনেকসময় চা বা কফি খেলে মাথা খোলে, সাময়িক ভাবে মগজ-যন্ত্রকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করা যায়। তবে আপনি নিয়মিত করলে অবশ্য "এটা না হলে লেখা বেরোবেই না" টাইপ একটা বিষয় হয়ে যায়। 

  • অন্যমনষ্কতা ঝেড়ে ফেলুন। ফ্রীল্যান্সাররা নিজেদের ঘরে বসেই লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের হোম অফিসটা নিজেদের মতো সাজিয়ে নিতে হয়। আপনি যখন সেখানে বসবেন তখন কয়েকটা ঘন্টার জন্য শুধুই আপনি এবং আপনার কাজ। ব্যস। নিজের ওয়ার্ক স্টেশনটায় শব্দ যেন খুবই অল্প হয়, সেটিতে যেন পর্যাপ্ত আলো থাকে এবং সবদিক থেকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা যায়; এসব বিষয় খেয়াল রাখবেন। পারলে কাজের সময়টায় পরিবারের অন্য কারো সাথে প্রয়োজনীয় কোন কাজের শিডিউল রাখবেন না। আপনি ঘন্টা চারেকই কাজ করুন, তবে কাজটা একনিষ্ঠভাবে করুন। কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো কাছে রাখবেন।

  • লিখতে থাকুন। হ্যা, ঠিক শুনেছেন। কখনো কখনো শব্দহীনতায় ভুগতে থাকা মগজ-যন্ত্রকে সচল রাখার বড় উপায় হচ্ছে লিখতে থাকা। জোর করে লিখতেই থাকা। অনেক সময় পাঁচ হাজার শব্দের (আনুমানিক) একটি নিবন্ধ লিখতে আমারও ইচ্ছে করেনা। তখন আমি শব্দ গুনি। অনেকটা "ওহ... দু'হাজারখানেক শব্দ শেষ, আর তিন হাজার, আর তিনটে ঘন্টা। এইভাবে। এটাকে বলে গ্রাইন্ড করা। ফর্মহীন একজন ক্রিকেট প্লেয়ার যেমন ম্যাচ প্র্যাক্টিস বা কোন একটা অফিশিয়াল ম্যাচে সময় নিয়ে খেলে ফর্মে ফেরেন, অনেকটা সেরকম।
আশা করা যায় নিজের এলোমেলো এই লেখাটা দিয়েই Writer's Block নামক সমস্যাটার কিছু সমাধান দিতে পেরেছি। আমি নিজেই আমার ক্লায়েন্টের লেখার ফাঁকে একঘেয়েমী কাটানোর জন্য লেখাটা লিখছি। এখন আবার বড় একটা লেখা লিখতে ইচ্ছে করছে। আমার যেহেতু মগজ-যন্ত্র কাজ করার জন্য পুনরায় তৈরী, আমি আশা রাখি আপনাও এই টোটকাগুলোতে উপকৃত হবেন। 

আল্লাহ হাফেজ!

Comments

  1. ভাই, আপনার পড়া কিছু গল্পের বই এর লিস্ট চাই। আর নামাজ পড়তে বলার কথাটা আমার ভালো লেগেছে :D
    আমার বড় শত্রু ভাই ফেসবুক :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. The Godfather
      The Fourth K
      The Family
      The Lost Symbol
      Cuckoo's Calling
      আসমানীরা তিন বো্‌
      গোরা,
      মাধুকরী,
      প্রথম আলো... ইত্যাদি।

      Delete
  2. মাঝে মাঝে কি বোর্ড টা বিষের মত মনে হয়। ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য।

    ReplyDelete
  3. বেশ ভাল বলেছেন, তবে একটি চমৎকার আর্টিকেলের বেকগ্রাউন্ড এ, ইউজার ফ্রেন্ডলি কালার আশা করছি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. জ্বী ভাই, চেষ্টা থাকবে। :) আমি এই ব্লগটিতে নিয়মিত লিখতে পারিনা। হয়তো পাঁচটি আর্টিকেল হয়ে গেলেই প্রোফেশনালি ডিজাইন করার কথা চিন্তা করবো। :) দোয়া রাখবেন।

      Delete
  4. আমি আমার ওয়েবসাইটে (https://www.shoutmecrunch.com) আমার আর্টিকেল sample রেখেছি, আমার ওয়েবসাইটে অনেক গেস্ট article post হয় এখন কাউকে যদি আমি আমার আর্টিকেল sample দেখাতে চায় তাহলে সে কিভাবে বুঝবে যে, কোনটি Guest Post আর কোনটি আমার নিজের?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার সাইটে নিজের স্যাম্পল এর জন্য পোর্টফোলিও বা স্যাম্পল নামের একটা সেকশন করে সেখানে আপনার লেখা আর্টিকেলগুলোর লিংক দেন। নিজের সাইটের আর্টিকেল হলোও। সেইটার ফরম্যাট হবে রিসোর্স পেজের মত। তাহলেই হলো। :) আশা করি সাহায্য করতে পেরেছি।

      Delete
  5. নামাজ পড়ুন। এইটা মুসলিমদের জন্য একটা টনিকের মত কাজ করে। ফজরের নামাজ কিংবা মাগরিবের পর মগজ-যন্ত্র কিন্তু দৌড়ায়। ফজরের নামাজের পর কাজ শুরু করলে দিনের বারোটা বাজার আগেই ষাটভাগ কাজ শেষ করে বসে থাকা যায়। পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স!

    দারুণ আইডিয়া , ফজরের পর ৬.৫০-১২.০০ পর্যন্ত কাজ করলে ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় পাওয়া যায়। আমার সবচেয়ে বড় বদ অভ্যাস হল রাতজাগা, দীর্ঘক্ষণ রাত জাগলে দিনটা ভাল কাটেনা, আপনার আইডিয়াটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।

    ReplyDelete

Post a Comment