কিভাবে একটি Single Product Review Article লিখবো - লেখককথন

একজন লেখকের কাছে সব থেকে কঠিন কাজ কি?

অনেকেই এখন বলবেন, "শব্দ খুজে না পাওয়া," আবার অনেকে বলবেন, "রিসার্চ," অনেকে বলবেন, "সবকিছু সাজানো," কেউ কেউ আছেন যারা বলবেন, "অন্যের লেখা এডিট করা।"

Let me tell you, কোনটাই মিথ্যে নয়। আসলে প্রশ্নটাই একটা অভেদ।

যে কোন দিক দিয়ে এর সমাধান সম্ভব। এটা একটা সত্য।

আরেকটা সত্য হলো, এসব সমাধান কোনটাই "সম্পূর্ণ" নয়।

Confused?

হবারই কথা!

আসলে একজন লেখকের জন্য উপরের প্রত্যেকটি বিষয়ই একেকটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রত্যেক লেখকের ক্ষেত্রে তাঁর সমস্যা ইউনিক। এই সমস্যাগুলোর সমাধানের পথও ভিন্ন ভিন্ন।

এটা একটা সত্য।

আরও একটা সত্য হচ্ছে, এই সমস্যাগুলোকে এক বাক্যে প্রকাশ করা যায়। সবগুলো মিলিয়ে সামগ্রিকভাবে আমরা বলতেই পারি, একজন লেখকের লেখার বিষয়ের প্রতি "অ্যাপ্রোচ" এ সমস্যা আছে।

ভেবে দেখুন... একটা বিষয়কে আপনি কিভাবে দেখছেন, কিভাবে জানছেন, কিভাবে সামলাচ্ছেন, এর উপরেই আপনার সেই বিষয় কেন্দ্রিক সমস্যা কিংবা সেই সমস্যার সমাধান নির্ভর করছে।

একেই আমরা এক কথায় বলি, "Approach" যার গ্রহণযোগ্য বাংলা এক্ষেত্রে হলো কোন বিষয় নিয়ে একজন লেখকের "দৃষ্টিভঙ্গি বা লেখার ধরণ।" আর এইটা নিয়েই আমাদের আজকের গপ্পোসপ্পো। আর আজ আমরা Single Product Review করা শিখবো।



প্রথম কথা Topic এবং Keyword এর পার্থক্য বের করেন

Hold on, hold on! টপিক আর কিওয়ার্ড একই না?

জ্বী ভাই, ক্ষেত্রবিশেষে যা Topic তা-ই কিওয়ার্ড যেমন Best Mountain Bikes বা Best Baby Strollers.

কি ভেবেছিলেন? ক্লায়েন্টের কিওয়ার্ড দিয়ে বোঝাবো?

হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ

আপাতত পাবলিক সম্পত্তি দুটো কিওয়ার্ড নিয়েই থাকেন।

যা-ই হোক, উপরের উদাহরণে Topic এবং Keyword একই। এক ভাবলে কোন সমস্যাই নেই।

তবে, একটু গভীরে গিয়ে আমরা যদি দেখি, “Best Mountain Bikes under 200 Dollars” বা “Best Baby Strollers for Two-Year-Old Babies” এগুলোর ক্ষেত্রে Mountain Bike এবং Baby Stroller বিষয় হলেও কিওয়ার্ড হলো উল্লেখিত বিষয়গুলো।

ক্লায়েন্ট যখন আমাদের Topic দেন বলে অনেকে বলেন, তার থেকে বেশি উপযুক্ত কথা হলো, ক্লায়েন্ট আমাদের “Keyword” দেন।

আচ্ছা, কিওয়ার্ড পেলাম... এবার কি করবো? চলেন নিচে নামি। মানে, নিচের স্টেপ এ যাই।

ফরম্যাট ঠিক করেন - কিভাবে লিখবেন?

এই পর্যায়ে ক্লায়েন্ট মহাশয় বড় ভরসার নাম। তিনি আপনাকে একটা ফিক্সড ফরম্যাট দেবেন। একজন ক্লায়েন্ট তাঁর লেখার Topic এবং Keyword ঠিক করার পাশাপাশি Competitor Analysis করে এরপর Writer-কে approach করেন।

একজন ক্লায়েন্ট মূলত যেভাবে আপনাকে ইন্সট্রাকশন দেন, তা হলোঃ
Intro .... Words
Feature One .... words
Feature Two ... Words
Feature Three ... Words
Feature Four ... Words
Pros
Cons
Outro ... words
Total ... Words

গ্রামারে ভুল থাকা যাবেনা, স্পেলিং এ ভুল থাকা যাবেনা, ইন্ট্রিগিং কনটেন্ট দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে সালেহ আহমেদ এর একটা Detailed Guide আছে। For all you lazy bums, গাইডটা লিংক আপ করে দিলাম।
এই পর্যায়ে Disclaimer

আমি বলছিনা একজন রাইটার এই কাজগুলো করতে পারবেন না। Expert Writer নিজে রিসার্চ করবেন, Competitor Analysis করবেন, অন্যদের article এর ধরণ দেখবেন, অতঃপর ক্লায়েন্টকে input দেবেন। তবে সেগুলো আপনার ক্যারিয়ারের নির্দিষ্ট একটা সময় অতিক্রান্ত হবার পর (আমার মতামত, মাইরেন না :) ) আপাতত writer এর কাজ research করা এবং ভালোভাবে করা।
Clear? এবার তবে আরেকটু নিচে নামি? মানে... পরের স্টেপ এ যাই?

Instruction এর ওপারে - যা করবেন না

দিকনির্দেশনা তো পেলেন...। তা, লিখবেন কিভাবে? আমি একটা পয়েন্ট নিলে রিসার্চ করতে করতে লিখি। ধরেন ইন্ট্রো লিখতে শুরু করেছি, সেই ইন্ট্রোতে ভেতরে কি লিখবো এইটা নিয়ে Key Points Tease করি এবং আর্টিকেল এর প্রয়োজনীয়তা বোঝাই।
তবে এই কাজটা রিস্কি। আপনি যদি সারাদিনে অনেক ক্লায়েন্ট সামলান আর একটার পর একটা Article লিখেন, এই কাজটা করতে গেলে হয়তো আপনার মনযোগ ভঙ্গ হবে। এতে কয়েকটা কাজ হতে পারেঃ
  • একই দিনে দু’জন বা তিনজন ক্লায়েন্টের কাজ করলে একই কথা, শব্দ, বাক্য, এবং সিনারিও মাথায় ঘুরতে থাকবে। দেখা যাবে দ্বিতীয় ক্লায়েন্টের ক্ষেত্রে একই কিসিমের শব্দ চলে আসছে লেখায়। এটাকে আমি বলি Word Dragging (আমিই বলি, এটার প্রোফেশনাল কোন ভিত্তি নেই, চলতি শব্দগুচ্ছ)। 
  • একই ধরণের বাক্য হয়ে গেলে দু’জন ক্লায়েন্ট Uniqueness চেক করতে গিয়ে দেখবেন বাক্যের এক বা একাধিক অংশ মিলে যাচ্ছে। Red Alert! Plagiarism! However unwanted it is, it’s an alarming thing.
  • লেখায় একই ধরণের কথাবার্তা Monotony তৈরী করে। 
  • একই টোন এর ফলে দুধরণের লেখা একই Sound করবে Further downgrading one’s abilities.

এবার!? কি হবে?

এত অল্পতে ভয় পেলে চলে? দু’জন ক্লায়েন্ট সামলাতে হতেই পারে। তা’ও আবার একই দিনে! তা অনলাইন প্রোফেশনাল হয়েছেন...। আবার সার্ভিস দিচ্ছেন। একটু খাটবেন না? চলেন মাইন্ডসেট ঠিক করি আগে।

নিচে নামেন...।
কিভাবে বিষয়াদি উপস্থাপনা করবেন ঠিক করেন
লোকে বলে Work Hard আর আমি অলি Work Smart. একজন ক্লায়েন্টের লেখা ঠিকঠাক মত সাজাতে জানতে হয়। আপনি কোন বিষয়টা কিভাবে উপস্থাপন করছেন এইটা একটা মোক্ষম ট্রিক হতে পারে। আপনার এবং অন্যদের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। 

তাই Instruction পাওয়ার পর কয়েকটা কাজ যেগুলো করবেন তারমধ্যে এক নাম্বার হলো প্ল্যান ঠিকঠাক করে নেয়া। এখন কথা হলো কিভাবে করবো?

একটি Article লেখার আগে সেটার কোন অংশ কখন লিখবেন, এইটা মনে মনে ঠিক করেন। সাইকেল এর রিভিউ লিখতে গিয়ে কোন কোন বিষয় উল্লেখ করবেন, কিভাবে করবেন এইটার একটা মেন্টাল ম্যাপ ঠিক করে নেন। 

এখানে একটা কথা আছে। সাইকেল এর রিভিউতে দুনিয়ার তাবৎ বিষয় বলার পর যদি ফ্রেম নিয়ে কথা বলেন, তাহলে কিন্তু হইলো না।

আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী


তাই আগে সাইকেলটা দেখে কেমন মনে হচ্ছে সেটা নিয়ে লেখেন। আমি হলে আগে ফ্রেম কোয়ালিটি আর সিট কোয়ালিটি নিয়ে লিখতাম।

ধরেন আপনি সেটাও ঠিক করতে পারছেন না, কি করবেন?

Basic thing is to look at your competitors. ওঁদের দেখতে হবে...। তাঁরা কিভবে লিখেছেন। তাঁরা কিভাবে বিষয়ে যাবার আগে অবতারণা করেছেন? এটা ঠিক করতে হবে। এরপর Better করার চেষ্টা করতে হবে।

যদি দেখেন এমন নিশ নিয়ে কাজ করছেন যেখানে কম্পিটেটরই নাই, সেখানে আপনিই সব। তখন তো হয়েই গেল। আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী।

এইভাবেই ক্রম ঠিক করে নিন। প্রয়োজনে কম্পিটেটরদের আর্টিকেল বার বার পড়েন। অনেকে বলেন, প্রথম পেজের গুলোই কোয়ালিটি আর্টিকেল, দ্বিতীয় পেজ কেউ দেখেনা। একজন রাইটার দেখেন, আপনি দেখবেন। কথা শেষ!

কি কি পেলেন আর্টিকেলগুলো পড়ে, কিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, কোন ক্রমে, কোন কোন বিষয় আপনার ভালো লেগেছে? এই বিষয়গুলো একটা Excel Sheet এ বা একটা নোটপ্যাড এ লিখে রাখেন।

আপনি এই স্টেপে তিনটে জিনিস পেলেনঃ
  • পরিকল্পনা,
  • ক্রম, এবং
  • টোন বা নিবন্ধের বাচনভঙ্গি।
ব্যস! আপনার ড্রয়িং বোর্ড এ প্রাথমিক এবং নিজস্ব কাঠামো দাঁড়িয়ে গেল। 

[নোট একঃ ক্লায়েন্ট আপনাকে বেইসিক ফরম্যাট এ ফিচার এক দুই তিন বলেছিলেন, রাইটারের কাঠামোতে পার্থক্য হলো, সেই এক, দুই, এবং তিন এ কি বসবে এবং কেন... এইটা বের করা হলো। ]
[নোট দুইঃ আপনার কম্পিটেটর যে সবসময় ঠিক কাজটা করছে, এইটা ভেবে নেয়াও ঠিক নয়। সে টোন বা ক্রমে ভুল করতে পারে। নতুনদের জন্য ধরা কষ্টের। নির্দ্বিধায় ক্লায়েন্টকে জিজ্ঞাসা করুন।
তিনি সাহায্য করবেন।
কিছু ক্লায়েন্ট আছেন, পয়সা দিয়ে শুধু কাজ নেন। কিছু আছেন, রাইটারের সাথে সিনার্জি বিল্ড আপ করে কাজটা করিয়ে নেন। রাইটারকে পার্টনার হিসেবে ট্রিট করেন। হয়তো পার্টনারশীপ অফারও করতে পারেন। হতে পারেন দ্বিতীয় ক্লায়েন্ট গরীব, আমি দশবারে নয়বারই তাঁকে প্রিফার করবো। এতে আমি শিখতে পারবো। (ব্যক্তিগত মতামত)।]

Put That Sketch Into Work

Framework করেই শেষ...? লিখতে হবে তো, নাকি? আসেন লিখি...। আমাদের বেইসিক ফরম্যাট ছিলো, ইন্ট্রো, ফিচার এক থেকে চার, প্রোজ, কনজ, আউট্রো; রাইট?

এবার আমরা প্রত্যেকটা সেকশন নিয়ে কাজ করবো। শুরুতেই “শুরু” করতে হবে। 

তা সেই শুরুটা নিয়েই যে বিশ পচিশখানা আর্টিকেল দেখেছিলেন, সেগুলোতে গবেষণা চালান। হ্যা, আরেকদফা পড়েন।

বিশজনের অন্তত পাঁচজন ভালো মানের ইন্ট্রো দিয়েছেন। তা তিনি সার্চের যেখানেই থাকেন না কেন। লেখার মান এবং লিংক সার্চ নির্ধারক। একটা দেখে আরেকটার পাওয়ার বোঝা যায়না। দুটোই দেখতে হয়। আমি এক নাম্বার থেকে দশ নাম্বার দেখলে রাইটার হিসেবে বিশ নাম্বার লেখাটা দেখবোনা কেন?
যিনি সবথেকে ভালো লিখেছেন, তাঁর থেকে ভালো করার চেষ্টা করেন। 

কিভাবে শুরু করেছেন? একটা প্রশ্ন দিয়ে, নাকি প্রশ্নের পর প্রশ্ন দিয়ে?
নাকি, কৌতুক করে?
নাকি ইগোতে হার্ট করে?
নাকি ছ্যাবলামো করে?

কিওয়ার্ডটা কিভাবে ইউজ করেছেন ইন্ট্রোতে?
কত শব্দ দিয়েছেন?
সব দেখেন, সব!
এখন চিন্তা করেন, এর থেকে ভালো করতে গেলে আপনাকে কি করা দরকার?
একটা প্রশ্ন করবেন? না দশটা? ক্লায়েন্টের ইন্ট্রোর জন্য ইন্সট্রাকশন দেয়া থাকলে তার মধ্যে থেকে কিভাবে সেগুলো ফুলফিল করে এগোবেন।
আমার গুরুর ভাষায় একটা Demo দেইঃ
Client বলেছেন Limited শব্দে ইন্ট্রো ইউজ করে সেটাকে মাইন্ড ব্লোয়িং করতে, একবার কিওয়ার্ড দিতে সেখানে। আমি লিখবোঃ

I had a dream!

I am not a Martin Luther King Jr. but I had a dream too! Mine was of buying my kid a baby stroller. Not just any brand at that. Possibly, the best baby stroller for a two-year-old baby.

You might think, “With a few bucks and a tad bit know-how,” it’s not all that difficult.

Think again! You have like a ton of products out there! Chances are, you’ll be drowned in a pile.

Fortunately, my friend came to the rescue and suggested three brands. I could pick one.

Now, I have a favorite of my own. “অমুক Baby Stroller.” Why, you ask? Sit back and see me analyze the hell out of the product in this review.

আপনারা কিভাবে লেখেন? প্রথম প্যারাগ্রাফে কিওয়ার্ড দিয়ে? একশো - একশো বিশ শব্দে ইন্ট্রো শেষ করেন? ফানি করেন? টিজ করেন রিডারকে?

শর্তগুলো কি পূরণ করতে পেরেছি?

(এত গুলো হ্যা বলতে বলতে ক্লান্ত? গুড, এতগুলো প্রশ্ন ইউজ করা ঠিক নয়। একটা থেকে দুটো সর্বোচ্চ।)

ইন্ট্রো শেষ! এবার কি হবে?

এরপর জোর দিতে হবে রিসার্চে। যেহেতু চারটা বা পাঁচটা পয়েন্ট একই রকম, একবারে swoosh করে সবগুলো টাচ করে যাই। বুলেটে চড়ে।
আই মিন, বুলেট পয়েন্ট।
  • কোন সেকশন কোথায় আলোচনা করবেন ঠিক করেছিলেন, মনে আছে? একটার পর একটা লিখে যাবেন এবার।
  • সাবহেডগুলো অনেকে এক দুই শব্দের দেন। ফ্রেজ ইউজ করেন, ভালো লাগবে শুনতে,পড়তে এবং দেখতে। আমার এই গাইডটাতেও দেখতে পারেন কিভাবে করেছি। 
  • প্রতিটা সেকশনে সাধারণ তথ্যগুলো দেবেন সুশৃংখলভাবে। একটার পর একটা, ক্রমানুসারে।
  • প্রতিটা সেকশনে সাধারণ তথ্যের পরের লাইনে বা একই লাইনে এটার বেনিফিট বলে দেবেন।
  • তথ্যগুলোর ডিপ এ যাওয়ার চেষ্টা করবেন। ধরেন বেবি স্ট্রলার ক্রোমিয়াম অ্যালয় দিয়ে তৈরী। স্টিল এর চাইতে আপনার ব্র্যান্ড কেন কন্সট্রাকশনের দিক দিয়ে ভালো। একটু হাল্কা আর ভারী হলে কি-ই বা আসে যায়, এইগুলো উল্লেখ করবেন। ক্রোমিয়াম অ্যালয় কখন ভালনারেবল, এইটা দিবেন। কি করলে ঠিক থাকবে, তাও দিবেন। এই সম্পর্কিত ডেটা থাকলে দিবেন।
  • ক্লায়েন্টের একটা গোল্ডেন কিওয়ার্ড রেশিও থাকে আর্টিকেলে। চেক করেন। সেকেন্ডারী কিওয়ার্ডগুলো এই সেকশনে সুযোগ পেলে দেন।
এইভাবেই Research, Write, Correct, Repeat!

ভাইয়া! কল-টু-একশন, ইন্টারনাল লিংকিং? ভিড্যু?

ভাইরে! লিখছেন সিঙ্গেল প্রোডাক্ট রিভিউ। পাবলিক কিনবে বলেই “আরেকটু শিওর” হবার জন্য পড়তে আসে। আর আসে স্পেকস জানার জন্য। গাইড তো আর লিখছেন না, যে কনভিন্স করা লাগবে।

স্টিল, করা লাগতেই পারে। সেজন্য প্রতিটা সেকশনে তো লিখছেনই যে আপনি বেনিফিট পেয়েছেন। Toddler দের জন্য বয়সসীমাও দিয়েছেন। সাথে বলেছেন কত টাকা (এ মা! সরি! ডলার) হলে কেনা যাবে। মাঝে লিংক বসিয়েছে ক্লায়েন্ট। এইগুলোই সাটল ট্রিগার।

সাথে আউট্রোতে Try it, you won’t regret the choice. I didn’t! এরকম কিছু জুড়ে দিতে পারেন।

ভিড্যু-টিড্যু পাইলে দিবেন। ক্লায়েন্টরে বলবেন ঐ চ্যানেলের ব্যাক এন্ডে একটা ম্যাসেজ করে কমেন্ট করে দিয়ে আসতে। Tomer Vidu linc dc fnd, Tnq টাইপ।

[ভালো ইংরেজীতে করতে কইয়েন]

সাথে ব্যাক এন্ডে ম্যাসেজ করার সময় বইলা দিয়েন যেন পরের ভিড্যুতে মেনশন করে। তাহলে বেচারা কিছু ফ্রী ভিজিটর পাবে।

ক্লায়েন্টকে বলেন, সে সিমিলার প্রোডাক্ট রেখেছে কি না? আর নাহলে একবার স্টিল আর ক্রোমিয়ামে কম্পেয়ার করেছিলেন মনে আছে? এরকম কোন কম্পেয়ারিজন মডেলে মডেলে হতে পারে। তখন চামে চামে ঐ মডেলের আর্টিকেলে লিংক আপ করে দিতে পারেন।

তবে আপনি যদি একটা সাইটের সব আর্টিকেল না লেখেন, তাহলে এটা ক্লায়েন্টের উপরে ছেড়ে দেয়া ভালো। সে-ই করুক। পয়সা বেশি দিলে আপনে কইরেন। দু পাঁচ ডলারের জন্য খাটার দরকার নাই।

শেষ করেন, মিয়া!

না, মানে এখন অনেক রাত! আমরা একটা আর্টিকেল লিখে ফেললাম সিঙ্গেল প্রোডাক্টের উপর শেষ করতে হবে তো! তা আমরাও এয়ার শেষ করবো।

শেষে দুইটা আইকনিক ফিচার বেছে নেন। সেগুলো হাইলাইট করেন। একই ব্র্যান্ডের আগের মডেলের রিভিউ লেখা থাকলে শুধু একটা দুইটা জিনিস আলাদা থাকে। সেই আলাদা জিনিসটাকেই হাইলাইট করেন। যেমনঃ

If anything, Model A Review has taught me to trust chromium alloy at this point. Steel is too heavy for me. Plus, it comes at a fractional price compared to Model B which is pricier.

If you want a model that suits and soothes your wallet AND don’t mind shedding one or two minor details off, go for model A.

Sure... you won’t get a canopy with this thing.

Yet, a lighter frame and a lrger space for your toddler’s toys are nice trade offs, don’t you think?

লিখলেন তো... দিয়ে দিবেন এখন ক্লায়েন্টকে?


না মানে, দু’ঘন্টা লাগলো আমার বিনা রিসার্চে এই লেখা লিখতেই। আপনার রিসার্চ সহ একটা পুরো ১২০০ শব্দের রিভিউ লিখতে চার ঘন্টা লাগতেই পারে (এক্সপার্টদের কম লাগবে, খুশি?)।

হয় কি, এই পর্যায়ে এসে রাজ্যের ক্লান্তি ভর করে। আমরাও বলি “দিয়া দিই, ... ডলার পামু (অনারিয়াম বসিয়ে নিয়েন)।”

তবে কাজটা ঠিক নয়। টিম নিয়ে কাজ করেন আর একা। প্রত্যেকটা আর্টিকেল লেখার সময় ফ্লো নষ্ট হবার ভয়ে আমরা থামি না। লিখে যাই। এতে টাইপো, গ্রামার মিস্টেক, কনটেক্সচুয়াল মিস্টেক সহ আরও অনেক কিছু হয়। মাঝে মধ্যে সেইভ করতে ভুলে গেলে আর্টিকেল গায়েব হয়ে যায়।

তাই আর ঘন্টা খানেক সময় নেন। কফি খান। আর পড়েন। পুরো আর্টিকেল পড়েন দশ পনেরো বার।

গ্রামার, টোন, কনজাংশনাল ওয়ার্ডস ঠিক করেন। কিওয়ার্ডের ভ্যারিয়েশন চেক করেন।

কিওয়ার্ড গেলাতে গিয়ে আগে পিছে “কমা” (কমজোরি, রাজশাহীর শব্দ) শব্দ দিয়েছেন কি না দেখেন। দিয়ে থাকলে পুরো বাক্য মিশিয়ে নতুন করে লিখেন।

আর্টিকেল আমি অন্তত দেড়ঘন্টা পড়ি। যা লিখি, তার থেকে বেশি ডিলিট করি। লেখার ফাঁকে, সেকশন শেষ করে একবার দুবার পড়ি, ঐটা বোনাস।

মোদ্দা কথাঃ সম্পূর্ণ শিওর না হয়ে ক্লায়েন্টকে সাবমিট করবেন না।

এরপরেও কথা থাকে। ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং করেন। লেখার মাঝে, লেখা দেখান। শেষ করার পর আপনার ফিডব্যাক সহ দেখান। তাঁকে পড়তে বলেন, তাঁকে সময় দেন। তাঁর ফিডব্যাক নেন। নিজে ইমপ্লিমেন্ট করেন, টিমকে করতে বলেন।

আমার কোন গ্রামার মিস্টেক থাকলে বলবেন, শিখে নেবো, ঠিকটা ইমপ্লিমেন্ট করবো।

At the end of the day, quality speaks. Be it two years, three, or four... quality strikes it home and the rest die down. 

Comments

  1. দারুণ হয়েছে। আমাকে কিছু আর্টিকেল দেননা ভাই?

    ReplyDelete
    Replies
    1. মাসুদ ভাই, এমনিতেই দারুণ চাপে আছি নিজের দুটো প্রোজেক্ট নিয়ে। :( আমি অত্যন্ত দুঃখিত ভাই। ক্র্যাম্পড হয়ে গেছি একেবারে।

      Delete
  2. Replies
    1. অনেক, অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া...। :)

      Delete
  3. খুব সুন্দর, সহজ, সাবলীল ও মজাদার ভাষায় বিস্তারিত বুঝিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ, ভাই।

    নিয়মিতভাবে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটা লেখা প্রকাশের অনুরোধ রইলো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. জানিনা প্রতি সপ্তাহে দিতে পারবো কি না সাদিক ভাই, তবে চেষ্টা থাকবে নিয়মিত দেবার। কাজগুলো গুছিয়ে উঠতে পারছিনা। এই ব্লগটা আমার অনেক সাধের। :) রেগুলারলি লিখতে ইচ্ছে হলেও কাজের চাপে হয়ে ওঠেনা। আপনারা পরবর্তি টপিক সাজেস্ট করলে কিন্তু দারুণ হয়!

      Delete
  4. Great! Much Informative bro. Thanks

    ReplyDelete
  5. Wow! It was very informative indeed! ;)

    ReplyDelete
    Replies
    1. Glad to be of help! এধরণের লেখা লিখতে অনেক সময় লাগে, আপনাদের ভালো লেগেছে শুনে সত্যিই আনন্দিত হই। কারোও উপকার হলে আরোও ভালো লাগবে। :)

      Delete

Post a Comment